আমাদের সম্পর্কে

শানে সাহাবা জাতীয় খতীব ফাউন্ডেশন -এর সংঘ স্মারক।

 

ধারা-১: শানে সাহাবা জাতীয় খতীব ফাউন্ডেশন।  (Shane sahaba national khatib foundation)

 

ধারা-২: ফাউন্ডেশনের রেজিস্ট্রার্ড কার্যালয়;  মৌচাক ভিলা, ২য় তলা। মৌচাক রোড, ডাকঘরঃ সানাড়পাড়, ৩নং ওয়ার্ড , নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন।  

ফাউন্ডেশনের আদর্শ ও উদ্দেশ্যসমূহ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কর্ম এলাকার বাহিরে ব্রাঞ্চ অফিস, প্রজেক্ট অফিস ও লিঁয়াজো অফিস খোলা যাবে। হেড অফিস বা অন্যান্য অফিসের ঠিকানা প্রয়োজনবোধে পরিবর্তন/ স্থানান্তর করা যাবে। 

 

ধারা-৩: সংস্থার ধরণ প্রকৃতি ; এ সংস্থা একটি অলাভজনক, বেসরকারি, স্বেচ্ছাসেবী, সমাজকল্যাণমূলক, জনহিতকর, এবং অরাজনৈতিক সংস্থা। এক বা একাধিক বিষয়ের বা বিভিন্ন কার্যক্রমের সমন্বয়ে সমাজকল্যাণমূলক ও মানব হিতৈষী সংস্থা। একতা, শৃঙ্খলা, সহযোগিতামূলক পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবী কর্মদ্যোগেরদ্বারা জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, নির্বিশেষে এলাকার তথা সমাজের বিভিন্ন স্তরের লোকদের জন্য সামাজিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা। প্রথমে ঢাকা জেলা। পরবর্তীতে বাংলাদেশের যেকোন জেলা/ মহানগর / পৌরসভা/ উপজেলা / ইউনিয়ন / গ্রামে কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে। 

 

ধারা-৪: সংস্থার কার্য এলাকা ; অত্র ফাউন্ডেশনের কার্য এলাকা ঢাকাসহ সমগ্র বাংলাদেশ।  

 

ধারা-৫: সংস্থার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ; নিন্ম বর্ণিত সকল উদ্দেশ্যাবলী নিন্মের সকল কিংবা যেকোন উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত হবে। বাস্তবায়নের পূর্বে সরকার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ/ উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমতি গ্রহণেরপর সংস্থার কার্যক্রম আরম্ভ করা যাবে এবং অ্যাক্ট ১৮৬০ এর ২০ ধারার বিধানের পরিপন্থী উদ্দেশ্য/ উদ্দেশ্যাবলী অকার্যকর বলে গণ্য হবে। 

১) মসজিদের ইমাম খতীব মুয়াজ্জিন ও খাদেমগণসহ নিরীহ আলেমগণ যেকোন সামাজিক সমস্যার সম্মুখীন হলে; সরকারের সংশ্লিষ্ট আইন কর্তৃপক্ষ ও জনপ্রতিনিধিগণের সাথে উপযুক্ত যোগাযোগ রক্ষা করে ভিকটিম ইমাম খতীব মুয়াজ্জিন ও খাদেমগণকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান করা।  

 

২) ধর্ম-বর্ণ ও জাতী নির্বিশেষে যেকোন মুমূর্ষু রোগীকে স্বেচ্ছায় রক্তদান করা। শানে সাহাবা জাতীয় খতীব ফাউন্ডেশনের সদস্যগণের মাধ্যমে ফ্রী ব্লাডব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা। 

 

৩) অসহায়, দরিদ্র ইমাম খতীব মুয়াজ্জিন ও খাদেম গণ ও তাদের পরিবার অসুস্থ বা এক্সিডেন্টের শিকারহলে; তাদের জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও মেডিকেল সেবা নিশ্চিত করা। 

 

৪) ইমাম খতীব মুয়াজ্জিন ও খাদেমগণ অন্যায়ভাবে চাকুরীচ্যুতিসহ কর্মক্ষেত্রে যেকোন সমস্যার সম্মুখীন হলে, তাদেরকে ন্যায় বিচার পাইয়ে দিতে; সামাজিক বিচার শালিসিসহ যথোপযুক্ত আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা। 

 

৫) বন্যা, মঙ্গা, অগ্নিকান্ডসহ যাবতীয় প্রাকৃতিক দূর্যোগে প্রত্যেক ইমাম খতীবগণ স্ব স্ব মুসল্লীদেরকে নিয়ে ভুক্তভোগীদের জন্য আর্থিক ও মানবিক সহায়তাসহ পাশে থাকা। 

 

৬) মসজিদ ভিত্তিক গণশিক্ষা কার্যক্রমকে বেগবান করতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাথে লিঁয়াজো রক্ষাকরে কাজকরা। 

 

৭) সমাজে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদক নির্মুলে মিম্বারে কুরআন সুন্নাহভিত্তিক বয়ান- খুতবার আয়োজন করা। 

 

৮) ইভটিজিং-যৌনহয়রানীসহ যাবতীয় অসামাজিক কর্মকান্ড থেকে যুবসমাজকে দূরে রাখতে মসজিদ ভিত্তিক সামাজিক উদ্যোগ গ্রহণকরা। 

 

৯) ইমাম খতীব ও মুয়াজ্জিনগণকে প্রশিক্ষিত করে গড়ে তুলতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহযোগীতায় নানামুখি শিক্ষা সেমিনারসহ প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন করা। 

 

১০) শিক্ষা ও ধর্মীয়ক্ষেত্রে উন্নয়নের লক্ষ্যে স্কুল কলেজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, মাদরাসা, মসজিদ/গীর্জা/প্যাগোডাসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপনে সাহায্য সহযোগিতা করা। গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি প্রদানের ব্যবস্থা করা। [ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে ] 

 

১১) স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা ছাত্রদের জ্ঞান বিকাশে সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতার আয়োজন করা। দেশীয় ও ধর্মীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান/ সভার আয়োজন করা। 

 

১২) পিতা/মাতা হারা এতিম সন্তান ও বিধবাদের জন্য অন্ন, বস্ত্র ও বাসস্থান ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। 

 

১৩) সমাজে শিক্ষা ব্যবস্থাকে অর্থবহ করারলক্ষ্যে স্কুল, কিন্ডারগার্টেন, মাদরাসা ও মক্তব প্রতিষ্ঠান চালুকরা। 

 

১৪) গরীব অসহায় মুমূর্ষু রোগীর রক্তের চাহিদাপূরণে হসপিটাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্লাডব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা। 

 

১৫) গরীব অসহায় পরিবারের জন্য জীবাণুমুক্ত বিশুদ্ধ পানি ও গভীর নলকূপ ব্যবস্থা করা। 

 

১৬) সামাজিক উন্নয়নেরলক্ষ্যে মসজিদ, ওযুখানা ও শৌচাগার নির্মাণ করা। 

 

১৭) প্রতিবন্ধী শিক্ষা কার্যক্রম, প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম, বৃক্ষরোপন অভিযান, মশক নিধন অভিযান, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান, ওয়াটার এন্ড স্যানিটেশন কার্যক্রম, পরিবার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন কর্মসূচী, প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ, কর্মশালা সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম গ্রহণ ও পরিচালনা করা। দেশের বৃহত্তম স্বার্থে ভ্রাম্যমাণ চক্ষু শিবির, চশমা বিতরণ প্রকল্প গ্রহণ এবং উপরোক্ত বিষয়ে সভা, সেমিনারের মাধ্যমে জনসেবা নিশ্চিত করা।  

 

১৮) গতানুগতিক শিক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভিত্তিক শিক্ষা অবকাঠামো তৈরী করা। সংস্থার অধীনে টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার, কম্পিউটার স্কুল, ভোকেশনাল স্কুল, কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার এককভাবে, অথবা দেশি-বিদেশী সোসাইটির সহযোগিতায় বা যৌথভাবে বাংলাদেশে স্থাপনের ব্যাপারে সরকারের নীতির আলোকে আইনগত ও বিধিগত আদেশের মাধ্যমে প্রকল্পের বাস্তবায়ন করা। [ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে ] 

 

১৯) প্রসূতি মা, ও শিশু স্বাস্থ্য রক্ষার্থে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র স্থাপনকরা। হতদরিদ্র, অসহায় রোগীরজন্য বিনামূল্যে চোখেরছানি অপারেশন, নাক কান গলা রোগীদেরকে চিকিৎসা সেবা প্রদানকরা। 

 

২০) ইসলামিক শিক্ষার মান ও উৎকর্ষ সাধনের নিমিত্তে মসজিদ মাদরাসা প্রতিষ্ঠাকরা। জনসাধারণের মাঝে বিনামূল্যে কুরআন, হাদীসের বইসহ নানারকম শিক্ষামুলক পত্রিকা, ম্যাগাজিন, বই-পুস্তক ও অডিও ভিডিও ডকুমেন্টারি সরবরাহ করা। সংস্থার নিজস্ব ফান্ডহতে শিক্ষামুলক যাবতীয় প্রিন্ট, অডিও ও ভিডিও প্রকাশনা তৈরীকরে তা জনসাধারণের মাঝে স্বল্পমূল্যে বিক্রয়করে প্রতিষ্ঠানের আয়বৃদ্ধিতে সহায়তা করা। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ কপিরাইট এ্যাক্ট প্রযোজ্য হবে। অত্র প্রতিষ্ঠানের বই, ভিডিও, অডিও ডকুমেন্টারী অন্যকেহ কপি/নকল করিতে পারিবেনা। 

 

২১) এইডস, যক্ষা, ডেঙ্গু, কভিড-১৯ সহ যাবতীয় মরণব্যাধী-রোগ সম্পর্কে গণসচেতনতা সৃষ্টিকরা ও এসবে চিকিৎসা সেবার উদ্যোগ নেয়া। মাদকাশক্ত নিরাময়কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা। 

 

২২) দাতব্য হাসপাতাল, স্যাটেলাইট ক্লিনিক, প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র, বায়োমেডিক্যাল গবেষণাগার, HIV, AIDS, CANCER & MALARIA সহ জটিল রোগের গবেষণাগার, কম্পিউটার স্কুল, ইন্টারনেট কেন্দ্র স্থাপন, ভোকেশনাল স্কুল, কম্পিউটার কলেজ এককভাবে অথবা দেশি-বিদেশি সংস্থার সাথে যৌথভাবে বাংলাদেশে স্থাপনের ব্যাপারে সরকারের নীতির আলোকে আইনগত ও বিধিগত আদেশের মাধ্যমে প্রকল্পের বাস্তবায়ন করা। [ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে] 

 

২৩) বেওয়ারিশ লাশ কাফন, দাফনসহ অসহায় রোগীদের সৎকারের ব্যবস্থা করা। 

 

২৪) আইএলও এর বিধান মোতাবেক বিভিন্ন শিল্পকারখানায় নিয়োজিত শিশু শ্রমিকদের কার্যক্রমবন্ধে সামাজিক কর্মসূচী গ্রহণ করা।  

 

২৫) সামাজিক অবকাঠামো বিনির্মাণ, ক্ষুদ্র শিল্পোন্নয়ন, বিভিন্ন কর্মসূচি বা প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে দরিদ্র বিমোচন।  

২৬) বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির সাথে সমন্বয় সাধন [ সরকারি-বেসরকারী ] 

২৭) ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সরকারী-বেসরকারী ও ব্যক্তি পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচীতে সহায়তা প্রদান।  

 

ধারা- ৬: ফাউন্ডেশনের আয় : 

এই ফাউন্ডেশনের তহবিল নিন্মবর্ণিত উৎসসমূহ থেকে গঠিত হবে। 

১) সদস্য ও দায়িত্বশীলদের ফী/ দান 

২) শুভাকাঙ্ক্ষীদের দান 

৩) সরকারি, বেসরকারি, দেশি বা বিদেশি সংস্থা/ প্রতিষ্ঠানের অনুদান। 

 

ক) গঠণতন্ত্রের বিধান অনুযায়ী ব্যক্তি, দেশী ও বিদেশী সংস্থা সমূহ, সরকারি/বেসরকারি ব্যাংক, ব্যবসা ও কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান বা ফাউন্ডেশন এবং সরকার থেকে তহবিল গ্রহণ করা যাবে। 

 

খ) আর্থিক বছরশেষে লভ্যাংশ, তহবিল অর্থ বা জমাকৃত তহবিলের অর্থ সদস্যদের মাঝে বন্টন করা যাবে না। শুধুমাত্র সংস্থার আদর্শ বা লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য অর্জনের ক্ষেত্রে কল্যাণমুখী কাজে খরচ করা যাবে। 

 

গ) এ তহবিলের অর্থ বিপদের সময় বা মামলার খরচের জন্য ব্যয় করা যাবে। তাছাড়া সংস্থার স্বার্থে  ও উন্নয়নে যেকোন ধরনের কাজের খরচ বা সেবার জন্য ব্যয় বা দান করা যাবে। ফাউন্ডেশনের আয় সদস্যদের মধ্যে লাভ, বোনাস, পকেটমানি বা সম্মানি আকারে বন্টন করা যাবে না। 

 

ধারা- ৭: সংস্থার অবসায়ন বিলুপ্তি।

যদি ফাউন্ডেশন অবসায়ন করা হয়, তাহলে এর সব দায়দেনা পরিশোধ করারপর যদি অবশিষ্ট সম্পদ থাকে, তা সমউদ্দেশ্যে গঠিত অন্যকোন ফাউন্ডেশন বা সোসাইটিকে হস্তান্তর করে দিতে হবে। 

এতে বিরূপতা দেখা দিলে উক্ত কাজে এখতিয়ারভুক্ত আদালতের রায় চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।  উক্তকাজ সম্পন্ন করারপূর্বে অতিরিক্ত সাধারণ সভায় উপস্থিত সদস্যগণের তিন পঞ্চমাংশের ভোটে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অবসায়নের কাজ সম্পন্ন হবে। সেক্ষেত্রে গৃহীত সিদ্ধান্তের অনুরূপ কপি পরবর্তী ২১ দিনেরমধ্যে সংশ্লিষ্ট রেজি: কর্তৃপক্ষের নিকট সদয় অনুমোদনের জন্য পাঠাতে হবে। অথবা স্থানীয় জাতীয় পত্রিকায় প্রেসনোট দিতে হবে। 

 

খ।  উপদেষ্টা পরিষদ :

(ক) কার্যনির্বাহী পরিষদ দেশের শীর্ষস্থানীয় ও সমাজ চিন্তক আলেম, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও বিশেষজ্ঞদেরকে নিয়ে ২১ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদ গঠণ করবেন। যাতে যেকোন লক্ষ্য উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করা যায়।

(খ) উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের কোনপ্রকার ভোটাধিকার সুবিধা থাকবে না। উপদেষ্টাগণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।

(গ) উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের মাসিক চাঁদা দিতে হবেনা। তবে ফাউন্ডেশনের উন্নয়নকল্পে স্বেচ্ছায় দান করলে, তা ধন্যবাদের সহিত গ্রহণ করা হবে।

(ঘ) উপদেষ্টা পরিষদের কোন মেয়াদ থাকবে না।

(ঙ) উপদেষ্টা পরিষদের কোন সদস্য ফাউন্ডেশনের স্বার্থবিরোধী যেকোন কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে তাঁর উপদেষ্টা সদস্যপদ বাতিল করা হবে।

(চ) উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যগণ কার্যনির্বাহী কমিটির আমন্ত্রণ সাপেক্ষে ফাউন্ডেশনের যেকোন কর্মসূচী ও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। তারা প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করবেন।

 

ধারা-৮: ফাউন্ডেশনের প্রাথমিক সদস্য :

(ক) যেকোন মুসলমান পুরুষ বা নারী ৫০০ (পাঁচ'শ)  টাকা সদস্য ফি পরিশোধ করে উক্ত ফাউন্ডেশনের প্রাথমিক সদস্য হতে পারবেন। আলেমগণ ইমাম-খতীব কোটায় এবং নন আলেমগণ মুসল্লী কোটায় প্রাথমিক সদস্যপদে আবেদন করতে পারবেন। মুসল্লী কোটার কোন সদস্য ও নারী সদস্যগণ ফাউন্ডেশনের কোন পদপদবী পাবেন না, তারা শুধু ফাউন্ডেশনের উন্নয়নের স্বার্থে প্রাথমিক সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত থাকবেন।

 

 ধারা ৯: ফাউন্ডেশনের সাধারণ পরিষদ :

(ক) এই পরিষদ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সদস্যদের দ্বারা গঠিত হবে।

প্রাথমিক সদস্যদের মধ্যথেকে সাধারণ পরিষদে উন্নীত হতে হলে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করতে হবে।

প্রতি জেলা/মহানগরে ১০১ (একশ এক) জন, প্রতি উপজেলা/পৌরসভাতে ৫১ (একান্ন) জন, প্রতি ইউনিয়নে ৪১ ( একচল্লিশ) জন, প্রতি ওয়ার্ডে ২১ (একুশ) জন সদস্য হতে পারবেন।

(খ) সাধারণ সদস্যগণের মধ্যথেকে প্রত্যেক জেলা দায়িত্বশীল/ সদস্যগণ কেন্দ্রীয় ফান্ডে বার্ষিক ১০০০ (একহাজার) টাকা, প্রত্যেক উপজেলা দায়িত্বশীল/ সদস্যগণ জেলা ফান্ডে ৫০০ (পাঁচশ) টাকা, প্রত্যেক ইউনিয়ন দায়িত্বশীল/ সদস্যগণ উপজেলা ফান্ডে ৪০০ (চার'শ) টাকা, প্রত্যেক ওয়ার্ড দায়িত্বশীল/ সদস্যগণ ইউনিয়ন ফান্ডে ৩০০ (তিন'শ) টাকা  বার্ষিক ইয়ানত/ ফি প্রদান করবেন।

সংশ্লিষ্ট কমিটিতে অন্তর্ভুক্তির পূর্বেই অত্র শাখার বার্ষিক ইয়ানত/ফি পরিশোধ করতে হবে। 

 ধারা-১০: অত্র ফাউন্ডেশনের গঠণকল্পে প্রতিষ্ঠাতা সদস্যভুক্তগণ ফাউন্ডেশনের সর্বোচ্চ পরিষদের সদস্য হিসেবে পরিগণিত হবেন। অত্র ফাউন্ডেশনের যেকোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার অধিকার তাদের থাকবে। ফাউন্ডেশনের জরুরি প্রয়োজনে তারা যেকোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন।  অধিকাংশ সদস্যদের সম্মতিতে সংবিধান পরিবর্তন, কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠণ, বাতিল, কমিটি পুনর্গঠন, রদবদল, সংবিধান সংশোধন, সংযোজন, আঞ্চলিক/ শাখা কমিটি গঠন অনুমোদন, সহজ পদ্ধতিতে নির্বাচনের ব্যবস্থসহ ফাউন্ডেশনের যেকোন প্রয়োজনে যেকোন সিদ্ধান্ত ও সার্বিক দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। 

 

 ধারা-১১: ফাউন্ডেশনের প্রশাসনিক ব্যবস্থা কার্যনির্বাহী পরিষদের ক্ষমতা ও দায়িত্ব। 

(ক) কার্যনির্বাহী পরিষদ সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করিবেন।

(খ) কার্যনির্বাহী পরিষদের মেয়াদকাল হবে ৫ (পাঁচ) বছর।

(গ) ফাউন্ডেশনের যাবতীয় কর্মকর্তা কর্মচারীগণ আয়-ব্যায়ের হিসাবরক্ষণ, সকল প্রকার খাতাপত্রসহ এ পরিষদের তত্ত্বাবধানে কাজ করবেন।

(ঙ) ফাউন্ডেশনের যাবতীয় খরচের অনুমোদন করবেন।

(চ) এ পরিষদ বিশেষ কার্যসম্পাদনের জন্য কমিটি,উপকমিটি অনুমোদন করবেন।

(ছ) ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য টাকা বা ইহার তহবিল সুষ্ঠু ও সুবিধাজনকভাবে যে কোন খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে; কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

(জ) এই ফাউন্ডেশনের জন্য বিভিন্ন আইন কানুন প্রণয়ন এবং প্রয়োজনবোধে পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও সংযোজন বা বিয়োজন করতে পারবেন। 

(ঝ) এই ফাউন্ডেশনের তহবিল ও সম্পদ সংগ্রহের জন্য যেকোন স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি ক্রয়, বিক্রয়, লীজ, ইত্যাদির মাধ্যমে ফাউন্ডেশনের পক্ষে প্রতিনিধি হিসেবে মালিকানা গ্রহণ করতে পারবেন এবং সম্পদের উন্নয়ন, বন্ধক, ব্যবহার ও পরিবর্তন করতে পারবেন। 

(ঞ) অন্যকোন ফাউন্ডেশনের কাজে সম্ভাব্য সহযোগিতা প্রদান তথা যৌথভাবে কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে প্রকল্পের বাস্তবায়ন করতে পারবেন। 

(ট) দেশী-বিদেশী সরকারি বেসরকারি দাতা সংস্থা হতে অনুদান গ্রহণ করতে পারবেন। 

(ঠ) সভা করার দিন হিসাব-নিকাশ খরচের ভাউচার, হিসাব বই, ক্যাশবই নিরীক্ষা করার ব্যবস্থা করতে পারবেন। 

 

(ড) ফাউন্ডেশনের প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য কর্মচারী বাছাই করতে, নিয়োগ করতে, সকল কর্মচারীর বেতন নির্ধারণ করতে প্রয়োজনবোধে বরখাস্ত করতে এবং বেতনভোগী কর্মচারীদের চাকুরী বিধি প্রণয়ন করতে পারবেন। 

(ঢ) ফাউন্ডেশনের প্রশাসনিক আর্থিক ও পরিচালনার দায়িত্ব নির্ধারণ করতে পারবেন। 

(ণ) কার্যনির্বাহী পরিষদ সকল প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা পরিচালনা, প্রকল্প গ্রহণ, অনুমোদন,  বাস্তবায়ন এবং কর্মকর্তা কর্মচারীদের দায়িত্ব নির্ধারণ করতে পারবেন। 

(ত) ফাউন্ডেশনের প্রয়োজনীয় অর্থ খরচের পূর্বে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের জন্য অনুমোদন করতে পারবেন। 

(থ) প্রতিবছর একবার সদস্যদের সভা আহবান করবেন এবং ফাউন্ডেশনের আয়,ব্যয় ও উন্নতির খতিয়ান সদস্যদের মধ্যে বিতরণ করবেন।

ধারা-১২: ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ :

(ক) ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা নির্বাহী পরিষদের উপর ন্যস্ত থাকবে।

(খ) নির্বাহী পরিষদ ৫ বছরের জন্য গঠিত হবে।

 

ধারা-১৩: ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিষদ সাধারণভাবে ফাউন্ডেশন সংক্রান্ত সকল বিষয়ে চূড়ান্ত ক্ষমতার অধিকারী এবং বিশেষভাবে নিন্মলিখিত কাজগুলি সম্পাদন করবেন।

 

(ক) ফাউন্ডেশনের সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য ও প্রয়োজনে নিয়মাবলি, বিধি, উপবিধি প্রণয়ন, পরিবর্তন, সংশোধন, প্রবৃত্তি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

(খ) ফাউন্ডেশনের স্বার্থে স্থাবর,অস্থাবর সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় ভাড়া প্রদান এবং অন্যকোনভাবে বন্দোবস্ত গ্রহণ ও প্রদান অথবা অন্য যেকোন প্রকারে সম্পত্তি অর্জন সংরক্ষণ, উন্নয়ন সাধন প্রবৃতি কাজ সমাধা করবে৷

(গ) ফাউন্ডেশনের উদ্দেশ্যাবলী অর্জনের লক্ষ্যে সহায়ক বিবেচিত যে কোন ব্যবসায় ফাউন্ডেশনের টাকা বিনিয়োগ করবে।

(ঘ) প্রয়োজনে ফাউন্ডেশনের সম্পদ, স্বার্থ, সুনাম অর্জন ও রক্ষার নিমিত্তে আইনগত পদক্ষেপ/ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

(ঙ) ফাউন্ডেশনের প্রজেক্টের পরিচালনা ও তত্ত্বাবধানের নিমিত্তে একাধিক উপকমিটি গঠন করবে। এছাড়াও ফাউন্ডেশনের কাজ সমাধানের  জন্য এবং দ্রুত নিষ্পত্তি ও সুষ্ঠু পরিচালনার স্বার্থে ফাউন্ডেশনের ক্ষমতা যে কোন ব্যক্তি, উপকমিটি অথবা ফাউন্ডেশনের উপর অর্পণ করবে।

(চ) ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন কর্মকর্তা নির্বাচনসহ সাধারণ সদস্যপদে নতুন লোক নিয়োগ করবে।

(ছ) ফাউন্ডেশনের কর্মচারী নিয়োগ, বাছাই, পরিচালনা ও তত্ত্বাবধান করবে।

(জ) ফাউন্ডেশনের স্বার্থে অন্য যে কোন প্রতিষ্ঠান বা প্রজেক্টের দায়িত্ব গ্রহণ করবে।

(ঝ) ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিষদের কোন সদস্যকে ফাউন্ডেশনের স্বার্থবিরোধী কোন কাজে জড়িত বা নিয়োজিত পাওয়া গেলে নির্বাহী পরিষদ থেকে তাঁকে বহিস্কার/ অব্যাহতি প্রদান করবে এবং তারস্থলে অন্য দায়িত্বশীল/ সদস্যকে নিয়োগ করবে।

(ঞ) ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিষদের কোন সদস্য ইন্তেকাল করলে, পদত্যাগ করলে, তাঁকে কোন কারণে বহিষ্কার/ অব্যাহতি প্রদান করা হলে তাঁরস্থলে অন্য দায়িত্বশীল/ সদস্যকে গ্রহণ করবে। ফাউন্ডেশনের স্বার্থে যে কোন প্রকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা বা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

ধারা-১৪: চেয়ারম্যান/ সভাপতির এর দায়িত্ব ও কর্তব্য

(ক) ফাউন্ডেশনের পক্ষে চেয়ারম্যান/ সভাপতি নিন্মলিখিত কার্যক্রম সমূহ প্রতিপালন করবেন।

তিনি ফাউন্ডেশনের অন্যতম প্রধান সম্মানিত ব্যক্তি বলে গণ্য হবেন। প্রতিষ্ঠাতা এবং সংবিধান ও গঠণতান্ত্রিক প্রধান হিসেবে তিনিই ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী হিসেবে আমৃত্যু দায়িত্ব পালন করবেন। চেয়ারম্যান/ সভাপতির ইন্তেকালের পর বা তার অবর্তমানে তার সন্তানগণ বা তার পরিবারের এক বা একাধিক সদস্যকে ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিষদের সদস্যগণ চাইলে চেয়ারম্যান/ সভাপতি বা অন্য যে কোন গুরুত্বপূর্ণ পদে অগ্রাধিকারসহ গ্রহণ/ নিয়োগ করতে পারবেন। 

সভাপতি পদাধিকার বলে এ ফাউন্ডেশন কর্তৃক সব ধরনের সভায় সভাপতিত্ব করবেন। ফাউন্ডেশনের উন্নতি সাধনই তার প্রধান কর্তব্য হবে।

(খ) তিনি ফাউন্ডেশনের যাবতীয় বিষয়ে সদস্যদেরকে আকৃষ্ট এবং উৎসাহিত করবেন। ফাউন্ডেশনের যে কোন চুক্তি, ফরম ও অফিসিয়াল গুরুত্বপূর্ণ নথিতে সাক্ষর করবেন।

(গ) তিনি বাৎসরিক বাজেট পরিষদের সুপারিশক্রমে অনুমোদন করবেন। কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তে তিনি অনুমোদন করবেন।

(ঘ) তিনি ফাউন্ডেশনের যাবতীয় উন্নয়ন মুলক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।

(ঙ) চেয়ারম্যান/ সভাপতি পদাধিকার বলে তিনি নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।  ফাউন্ডেশনের উন্নয়নের স্বার্থে দেশে বিদেশে সভা- সেমিনারসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সাথে মিটিং ও মতবিনিময় করবেন।

(চ) চেয়ারম্যান/ সভাপতি ফাউন্ডেশনের প্রশাসনিক ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করবেন। অধীনস্থ কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রমোশন, পদন্নোতি, বদলী ও ফাউন্ডেশনের চাকুরী বিধি অনুযায়ী বেতন বৃদ্ধি ও চাকুরীচ্যুত করার ক্ষমতা প্রয়োগ/ নিয়ন্ত্রণ করবেন।

(ছ) অর্থ বিষয়ক যাবতীয় হিসাব রক্ষার্থে কোষাধ্যক্ষের হিসাব নিকাশ দেখাশোনা ও সহযোগিতা করবেন। ফাউন্ডেশনের সভার পূর্বকালে তাহার প্রতিবেদন তৈরি ও বার্ষিক সাধারণ সভায় পর্যালোচনার নিমিত্তে উপস্থাপন করবেন।

(ঞ) চেয়ারম্যান/ সভাপতি প্রয়োজনে কর্ম এলাকা সম্প্রসারণ আঞ্চলিক কার্যালয় বৃদ্ধিসহ নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণ করতে পারবেন।

(ট) ফাউন্ডেশনের যাবতীয় কাজে অর্থ জমা ও খরচ করতে পারবেন। 

(ণ) ফাউন্ডেশনের যেকোন কমিটির নির্ধারিত ও জরুরী মিটিং আহবান ও বাতিল করতে পারবেন।

(ত)সভাপতি পদাধিকার বলে এ ফাউন্ডেশন কর্তৃক সব ধরনের সভায় সভাপতিত্ব করবেন। ফাউন্ডেশনের উন্নতি সাধনই তার প্রধান কর্তব্য হবে।

ধারা-১৫: মহাসচিব/ সেক্রেটারি ফাউন্ডেশনের  নিন্মলিখিত কার্যক্রম সমূহ প্রতিপালন করবেন।

তিনি ফাউন্ডেশনের দ্বিতীয় সম্মানিত ব্যক্তি বলে গণ্য হবেন।

 

(ক)তিনি ফাউন্ডেশনের সঠিক কার্যক্রম পরিচালনায় মাঠে ও অফিসে দাপ্তরিক দায়িত্ব পালন করবেন। চেয়ারম্যান/ সভাপতিকে যাবতীয় প্রাতিষ্ঠানিক কাজে সহযোগিতা করবেন। 

 

(খ) সদস্যদের ফরম রেজিষ্ট্রেশন ও চেক করবেন। ফরমসহ যাবতীয় অফিসিয়াল কাগজপত্রের তথ্য হালনাগাদ ও সংশোধন করবেন।

 

(গ) ফাউন্ডেশনের যাবতীয় মিটিংয়ে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নে দায়িত্বশীল, কর্মীদেরকে নির্দেশনা প্রদান করবেন। শাখা ও আঞ্চলিক শাখা সমূহের সাথে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পক্ষে যাবতীয় যোগাযোগ রক্ষা করবেন।

 

(ঙ) ফাউন্ডেশনের যাবতীয় মিটিং ও সভা সমাবেশ পরিচালনা বা সঞ্চালনা করবেন।

 

মহাসচিব/ সেক্রেটারীর ইন্তেকালের পর বা তার অবর্তমানে তার সন্তানগণ বা তার পরিবারের এক বা একাধিক সদস্যকে ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিষদের সদস্যগণ চাইলে চেয়ারম্যান/ সভাপতি বা অন্য যে কোন গুরুত্বপূর্ণ পদে অগ্রাধিকারসহ গ্রহণ/ নিয়োগ করতে পারবেন।

 

ধারা-১৬: কার্যনির্বাহী পরিষদের দায়িত্ব ও কর্তব্য :

(১) ফাউন্ডেশনের উর্ধ্বতন দায়িত্বশীলদের কার্য সম্পাদনে সহায়তা করা এবং তাঁদের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করাই কার্যনির্বাহী সদস্যদের প্রধান দায়িত্ব। 

(২) প্রত্যেকেই ব্যক্তিগতভাবে বা সমষ্টিগতভাবে সংস্থার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য অর্জনে সচেষ্ট হবেন।

(৩) এ ফাউন্ডেশনের বিধান অনুযায়ী অন্যান্য সদস্যদের কর্মতৎপরতা পর্যালোচনা করে এর সঠিক ব্যবস্থাপনা/ দিকনির্দেশনা প্রদর্শন করতে পারবেন। 

(৪) ফাউন্ডেশনের যে কোন সভায় সভার কর্মসূচীর আলোকে তাদের মতামত উপস্থাপন করে বাস্তব সম্মত পদক্ষেপ গ্রহনের সুপারিশ করতে পারবেন।

(৫) বিশেষ করে ফাউন্ডেশনের তহবিল বৃদ্ধির জন্য তারা তারা সচেষ্ট হবেন পাশাপাশি অন্যান্য সদস্যদেরকেও মাসিক ও যাবতীয় ফি/ চাঁদা দিতে উৎসাহিত করবেন।

 

ধারা-১৭: ব্যাংক পরিচালনা :

উক্ত সংস্থা বাংলাদেশের যে কোন স্থানে ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারবে। সংস্থার চেয়ারম্যান/ মহাসচিব এবং কোষাধ্যক্ষের যৌথ সাক্ষরে ব্যাংক একাউন্ট পরিচালনা করিতে পারিবে। অথবা  নির্বাহী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক একাউন্ট পরিচালিত হইবে।

 

ধারা-১৮: ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিষদের সভা এবং ইহার কোরাম :

 

(ক) ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিষদ কমপক্ষে ৬ (ছয়) মাসে বৈঠকে বসিবে। ইহা ব্যতিরেকে প্রয়োজনে যে কোন সময় বৈঠক করিবেন।

(খ) ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিষদেও ২/৩ ( দুই-তৃতীয়াংশ)  সদস্যদের উপস্থিতিতে বৈঠকের কোরাম হবে।

(গ) ফাউন্ডেশনের স্বাভাবিক বিষয়াবলি সম্পর্কে ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিষদের সভায় উপস্থিত সদস্যপদের সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে। অন্যান্য বিষয় যেমন ফাউন্ডেশনের গঠনতন্ত্র সংশোধন/ পরিবর্তন / পরিবর্ধন এবং ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিষদেও কোন সদস্যকে বহিষ্কার করিতে হইলে সভায় ৩/৫ (তিন পঞ্চমাংশ) ভোটে প্রস্তাব পাশ করিতে হইবে।

 

ধারা-১৯: ফাউন্ডেশনের বার্ষিক সাধারণ সভা।

(ক) প্রতিবছর একবার ফাউন্ডেশনের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে।  বার্ষিক সাধারণ সভার জন্য কমপক্ষে ১৪ দিন পূর্বে নোটিশ দিতে হইবে।

(খ) বার্ষিক সাধারণ সভায় অত্র ফাউন্ডেশনের কাজের রিপোর্ট, বার্ষিক হিসাব, অডিট রিপোর্ট, বার্ষিক বাজেট পেশ ও অনুমোদন করা হবে।

(গ) পঞ্চম বার্ষিক সাধারণ সভায় ফাউন্ডেশনের কার্যনির্বাহী পরিষদের চেয়ারম্যান ব্যতীত অন্যান্য কর্মকর্তাগণ নির্বাচিত হবেন। 

(ঘ) বার্ষিক সাধারণ সভায় সদস্যদের ১/৩ ( এক-তৃতীয়াংশ)  অংশের উপস্থিতিতে সভার কোরাম হবে।

 

ধারা-২০: শাখা অফিস স্থাপন ও নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি। 

(ক) বাংলাদেশের সকল উপজেলা ও জেলায় শাখা অফিস স্থাপন করা যাবে।

(খ) শাখা অফিসের সকল কার্যক্রম বন্ধ ও চালু করার ক্ষমতা প্রধান কার্যালয় কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হইবে।

(গ) ফাউন্ডেশনের কর্মসূচী সঠিকভাবে বাস্তবায়নের নিমিত্তে নিয়মিত/ অনিয়মিত স্বেচ্ছাসেবী, খন্ডকালীন, কর্মকর্তা, কর্মচারী নিয়োগ, বাতিল করা। এ জন্য সরকারি প্রচলিত বিধানের আলোকে চাকুরী বিধিমালা প্রণয়ন করা।

 

ধারা- ২১: ফাউন্ডেশনের অডিট পদ্ধতি

ফাউন্ডেশেনর আইনের যে কোন অডিট ফার্ম (সরকার অনুমোদিত) হিসাব জুলাই টু জুন বাৎসরিক ভিত্তিতে পরীক্ষা করাবেন।

 

ধারা-২২: অফিসিয়াল বৎসর। 

আরবী ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ১ লা শাওয়াল থেকে বৎসর আরম্ভ হইবে।

 

ধারা- ২৩: সংশোধন: 

ফাউন্ডেশনের সংঘ স্মারক এবং গঠনতন্ত্র সংশোধিত, পরিবর্তন, পরিবর্ধন, ইত্যাদি বিষয়ে সাধারণ সদস্যদের বৈঠকে উপস্থিত সদস্যদের ৩/৫ ( তিন পঞ্চমাংশ)  ভোটে সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে। 

 

 

 

ধারা-২৪: নির্বাচন পদ্ধতি: 

কার্যকরী পরিষদ : কার্যকরী পরিষদের মেয়াদকাল শেষ হওয়ার একমাস পূর্বেই নির্বাচন সংক্রান্ত সাধারণ পরিষদের সভা আহবান করতে হবে। উক্ত সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিযুক্ত করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। নির্বাচন কমিশনার তার দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের ক্ষেত্রে কমিশনের সকল সদস্যদের নিকট হতে পরামর্শ গ্রহণ করিবেন।